তুই-আমি নিশ্চুপ, কথা বলছে
আমাদের বন্ধুরা, আমাদের গলায়
তোর অজান্তেই আমি এক গ্রীক
রাক্ষস হয়ে গেছি-
কথা বেরোচ্ছে না, বেরোচ্ছে
কাইমেরা মুখ-নিসৃত গরল- জ্বালা ধরানো, মন পোড়ানো
তবু তোর নেশা হচ্ছে, তবু
লোক ভোলানো, চিনি-গোলা কথার জাল কেটে
কালো কাক উড়ে গেলো অবিন্যস্ত
পরিচিতদের খোলসে ঠোকর দিতে।
কার কথা ভেবেছিলি কারগিল
ঘোষণার আগে?
“চেহ্রা তেরা অউর চাঁদ
মেরি” বলে কার মুর্দাফরাস হয়েছিলি, ভার্চুয়াল?
ওই ছুতোরের বাচ্চা বলেছিলো
চড় খেয়ে আরেকটা গাল পেতে দিতে,
তার বদলে গাল দিলি?
গালিলিও-ও মেনেছিলো,
কর্তৃপক্ষ গলায় বাঁশ দিয়ে আখের রস বের করেছিলো-
তা বলে কি আর নিন্দে
লুকিয়েছিলো, পেটের ওমে? ঠিকই জগৎ জুড়ে গাল পাড়ছে
সমগ্র বিজ্ঞান-সন্ততি,
চর্চা করছে চার্চের।
আমি-তুই নগণ্য, তাই কাউকে
বলিনি, গাল টিপতে আর দিতে একইরকম ভাল লাগে।
সেই ভরসা বুকে নিয়ে,
রাস্তার প্রতিটি বাড়ির প্রতি তলায়, কেউ না কেউ,
“ওর ভালর জন্যেই” বলে
পরনিন্দে করছে...
গ্লোবাল ওয়ার্মিং মানে কি?
দুনিয়ায় পোকার সংখ্যা বেড়ে চলা?