Saturday, June 30, 2012

তাৎক্ষণিক-৬

কিছু কথা কেউ জানে না

জানে, মন-

কিছু প্রেম জমে ক্ষীর হয় তবু

নীরস নেপো দিনান্তে দইটাই মারে,

কিছু ব্যথা বুকে বাজে

বাকি সব গান হয়ে বাজবে বেতারে

কিছু ইঙ্গিত একান্তই তোমার, জানেমন...

কিছু কথা কেউ জানে না

জানে, মন...

Wednesday, June 20, 2012

বুড়ো কুকুর

“...আমিও কেমন কুকুর হয়ে গেছি
চাটার আগে শুঁকে দেখছি তোমায়...” -- শ্রীজাত

স্বাগতা চা বা কফি খেয়ে আসার পর ওকে চুমু খেতে খুব ভালো লাগে অমিতের। স্বাগতা বলে flavored kiss। অল্প কিছু আশ্লেষ, তারপরেই খাট- খেলার মাঠ।

বর্ষা এসে গেছে বেশ কিছুদিন হলো। পরিবেশ ঠাণ্ডা। সন্ধের পর থেকে মাঝে মাঝে ব্যাঙের ডাক শোনা যায়। শহরতলী বলে এখনো পাঁচ-দশটা উভচর টিকে আছে। একে ঝির ঝির করে বৃষ্টি, তায় নতুন বাড়িতে পাতা আনকোরা সংসার। সন্ধের পর কোনদিনই ওদের বাড়িতে কেউ আসে না। রাতে স্বাগতা ঘুমোয় আর অমিত ইন্টারনেটে দেশোদ্ধার করে। তাই এইটাই ওদের ঘনিষ্ঠ হওয়ার একমাত্র সময়।

আজ ব্যাপার আরও গুরুতর। বারোদিনের অন-সাইট ডিউটি শেষ করে আজ সকালেই বাড়ি ফিরেছে অমিত। যখন বাড়িতে ঢুকেছে, স্বাগতা তার আগেই ওদের এন.জি.ও র উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েছিলো। ফিরেছে বিকেল ৩টে নাগাদ। ফলতঃ তার পর থেকে ঘনঘন নিজেদের মধ্যে আমিষ দৃষ্টি দেওয়া নেওয়া হচ্ছিলো। নেহাত কাজের মাসি ওই সময়েই আসে, তাই–

সাড়ে ছ’টায় দু’কাপ চা বানিয়ে নিয়ে এলো যখন স্বাগতা, ততক্ষণে বাইরে ঝমঝম করে শুরু হয়ে গেছে। পাঁচ মিনিটের মধ্যে

Thursday, June 14, 2012

তাৎক্ষণিক - ৫

যারা ঠাণ্ডা আগুন জ্বাললো-
পেটে খিদের দাঙ্গা পেরিয়ে

যার খাতার পাতায় অক্ষর
আর মাথার মধ্যে কারগিল

যারা পিত্তি গুলেছে চুম্বনে
আর শক্তি দিয়েছে বন্ধন

ওরা পেলো না কখনো শান্তি
ওরা নিজেই নিজের বাস্তিল

তাই কবিতা লিখেই উড্ডীন
আর শব্দ-সৃজনে শান্তি

খুঁজে আলোর দরজা আজীবন
শেষে কালো অক্ষরে মুক্তি...

Wednesday, June 6, 2012

ঠাণ্ডা- লাভা

1

স্ট্রবেরী ওয়াইল্ড অর্থাৎ বুনো হলে তার স্বাদ বেড়ে যায় কে জানতো? বিশেষ করে তা যখন পাওয়া যায় এমন এক রাস্তার ধারে, যা বরাবর চলতে চলতে মাঝে মধ্যেই মনে নিকো পার্কের বাচ্চা রোলার-কোস্টারের কথা উঁকি দিয়ে যায়? হলুদ রঙের এবড়ো খেবড়ো ওই ফলগুলোকে স্ট্রবেরী বলে মানতে বেজায় আপত্তি থাকলেও মুশকো জোয়ান ড্রাইভার (যার হাতে প্রাণের জিম্মা দিয়ে চলেছি পাঁচ ভেতো বাঙালি) জোর দিয়ে বললো যখন- আপত্তি করে কার বাপের সাধ্যি? পরে দেশে ফিরে দেখি ওগুলোকে সত্যিই ভারতীয় স্ট্রবেরী (Mock Strawberry) বলে- এই দেখুন। তবে গল্পটায় অনেক এগিয়ে গেছি, তার আগের কিছু ঘটনা না বলে নিলে আপনারা থই পাবেন না।

মাত্র দু’দিনের তোড়জোড়ে হঠাৎ করে বেরিয়ে পড়লাম আমরা চাট্টি অরুণ এবং একজন কিরণমালা। লক্ষ্য- কলকাতার প্লাস্টিক ব্যাগটা থেকে বেরিয়ে একটু দম নিয়ে আসা- সম্ভব হলে ঠাণ্ডা কোথাও। কিভাবে কি করেছি, তার বিবরণ পরেই দেবো’খন (আপনাদের সুবিধের জন্যেই), আপাতত ধরে নিন,

Friday, June 1, 2012

সাধারণ্য

“I can’t take my eyes off you…”—Damien Rice

ভেবে বসবেন না যেন, আবার একটা কবর-পচা প্রেমের গল্প বলতে বসেছি। নাঃ, প্রেম নয়, উপরের লাইনটা মনে পড়লো এক ইংরেজি সিরিয়ালের কথা ভেবে। আমার আর আমার কাছে-দূরের বন্ধু-বান্ধবের অনেকেরই এটা দেখা, হয়তো আপনারও। না দেখা থাকলে দেখে নিতেই অনুরোধ করবো। নাম? বলবো, বলবো... দাঁড়ান, অতো তাড়া কিসের? আগে স্বজাতির অভ্যাস মেনে একটু discourse (সহজ করে, ভাট) করে নেওয়া যাক।

আমরা সকলেই কম বেশি বুদ্ধিজীবী তো, মানে বুদ্ধি খাটিয়ে খাই (রান্না করতেও যে ঠিক কতটা বুদ্ধি লাগে, সেটা যে করেনি, জানেনা), তাই আমাদের নিজেদের প্রতি একটা স্বাভাবিক দায়িত্ব থাকে, একটু আলাদা হওয়ার, হট্‌কে হওয়ার। আমরা বিয়ে বাড়িতে একটু ‘অন্যরকম’ সাজতে পছন্দ করি; যারা একটু আলাদা, তাদের ভালো-মন্দ যাই হোক, গুরুত্ব দিই; আমাদের পড়াশুনো, গান-বাজনা, মতাদর্শ, কিছু একটা বাকিদের থেকে আলাদা রকম হলে সেটা নিজের কাছে গর্বের ব্যাপার হয়। “সে কি রে? এই গানটা শুনিসনি?” বলতে অপছন্দ করে, এমন খুব কম লোক আছেন মনে হয়। তা, সেটা খুব ভালো একটা ব্যাপার। ভাগ্যিস! নইলে শিখতামই বা কোথা থেকে, আর প্রাণভরে তর্কই বা করতাম কার সাথে- সবই এই আলাদা হওয়ার গুণেই তো!

কিন্তু, মজাটা হয়, যখন,