Sunday, September 23, 2012

ঘুরতে গিয়ে**


বছর তিনেক আগের কথা...
আমরা যখন রেল-জংশন পিছনদিকে ফেলে রেখে, মস্ত মস্ত গাড়ি বোঝাই বন্য-সীমা লক্ষ্য করে পথ চলেছি - পেটের ভিতর নিউ আলিপুর দুয়ার থেকে খেয়ে আসা কচি পাঁঠার খয়েরি ঝোলের খলবলানি – ঠিক সে সময় সুয্যিমামা ক্লান্ত দেহে পশ্চিমে পিঠ হেলান দিয়ে লালচে হলেন; আমরা তখন বছর পঁচিশ বয়স নিয়ে তরতাজা আর উদ্ধত-প্রাণ জনা-দশেক যুবী-যুবা শহর-গন্ধী ছুটির মেজাজ সঙ্গে নিয়ে জংলি হলাম।


জয়ন্তী যে ঠিক একটা নদী, তা নয়- অভিজ্ঞতা। সামনে বিশাল পাহাড়শ্রেণী দিক থেকে দিক আড়াল করে কোল পেতেছে। সেই প্রসারে মাতাল হয়ে হিমালয়ের দুলালী আর রগচটা মেয়ে জয়ন্তী, তার খামখেয়ালী হৃদয়খানা সমতলের উদার বুকে উজাড় করে পোষ মেনেছে। ঝিরঝির আর কুলকুল করে বয়ে যাচ্ছে দেদার জলে মাখামাখি পাহাড়-মেয়ের অভিমান আর এই আমাদের অতি কষ্টে কাজের থেকে তিল তিল করে জমিয়ে তোলা ছোট্ট ছুটির সন্ধেটুকু।

Friday, September 7, 2012

Dionysus এর দাক্ষিণ্যে

সপ্তাহান্তে জমায়েত হয়েছে আদ্যিকালের মেসে। ছেলে-মেয়ে মিলে সংখ্যা অনেক। ওই অঞ্চলে টানা দশ বছর কাটানো উপলক্ষে রাতভর পার্টি। আনুষঙ্গিক ফুর্তিফার্তায় ডায়োনাইসাসের কৃপাও রয়েছে পুরোদস্তুর। তা, ভোর এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ভট দাবী-দাওয়াও বাড়ছে বৈকি সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। নির্মাল্য দাবী করলো- ‘পদ্য লেখা কম্পিটিশন হোক...’ শুনেই অধিকাংশ সদস্য ঝিমিয়ে পড়লো। একজন অবস্থা বুঝে বার খাওয়ালো- ‘তোরাই লেখ- আমরা ভাল-মন্দ বিচার করি...’ অবশেষে মুরগি পড়ে থাকলাম দু’জন- নিমু আর আমি। নিমু বলল, আমার বিষয় হবে ‘হতাশা’; আমি ওকে বিষয় দিলাম- ‘খিস্তি’। পরের দিন জানতে পারি- স্টার্ট বলার সঙ্গে সঙ্গে আমরা নাকি ঝড়ের গতিতে লেখা শুরু করি। লেখা শেষ মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই। প্রথমে নির্মাল্য পড়ে শোনায়, তারপর আমি। এখন স্বীকার করতে লজ্জা নেই- নিজেরটাই ভালো করে বুঝতে পারিনি- নিমুরটা কি বুঝবো!
সব হয়ে যাওয়ার পর অরুণাভ (যে কিনা তার আগে অবধি মাটিতে ভোঁস ভোঁস করে ঘুমোচ্ছিল) জড়ানো গলায় গম্ভীরভাবে বলল- ‘কেউ জেতেনি, কেউ হারেনি, জিতেছে কবিতা’। আমার ধারণা, আমরা যতক্ষণ লিখছিলাম, তখন, ও কি বলবে তার মকশো করছিলো। সে যাক গে, কি ছাইপাঁশ লিখলাম আমরা? এই যে-


Monday, September 3, 2012

চেলুভি* (তাৎক্ষণিক -- ১২)

ছবি: সৈকত
অভি, তুমি মান করেছো?
দেখো, তোমার নামের ফুলে
সারা জঙ্গল ভরে ফেলে-
গাছ হয়ে গেলো নারী
কেন জোছনা করলো আড়ি
কেন মান রাখলো না মনমোহিনী
মান শুধু কেন, কথাও রাখেনি
ভরা কলসের অন্তর খালি
নিছক তামাশা করে বনমালী
সমস্ত খেলা মাটি হলো, অভি-
গাছ থেকে কাঠ হয়েছে চেলুভি
আর কেন মান, শৃঙ্গসমান
কান্না ধোয়াবে সব অভিমান-
প্রেমিকা-শরীর দু’হাতে বয়ে,
শুধুই কাঁদবে, কবি?
*******************************
চেলুভি

Sunday, September 2, 2012

তাৎক্ষণিক -- ১০,১১


এক মেস
এক দল
দশ সন
শত কথা;
দু’টো প্রশ্নে
ভয় হয়-
আরো দশ
কোথায় কে?
কেন দশ-
আমরা কি
এগোইনি?


কান চাই? পথে খোঁজো

নুড়ি পাবে, কড়িও
প্রাপ্তির খেরো খাতা
বাবাকেই শুনিও
দায় কার, কে তোমার
শ্রোতা, তার খোঁজ ঠিক
করলেই, উত্তর
দিয়ে যাবে পাবলিক।
ব্যথা পাবে, শুনে রাখো
মোটে দাম পাবে না-
অনুভূতি রবাহূত
কাজে কিছু লাগে না।