Friday, September 7, 2012

Dionysus এর দাক্ষিণ্যে

সপ্তাহান্তে জমায়েত হয়েছে আদ্যিকালের মেসে। ছেলে-মেয়ে মিলে সংখ্যা অনেক। ওই অঞ্চলে টানা দশ বছর কাটানো উপলক্ষে রাতভর পার্টি। আনুষঙ্গিক ফুর্তিফার্তায় ডায়োনাইসাসের কৃপাও রয়েছে পুরোদস্তুর। তা, ভোর এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ভট দাবী-দাওয়াও বাড়ছে বৈকি সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। নির্মাল্য দাবী করলো- ‘পদ্য লেখা কম্পিটিশন হোক...’ শুনেই অধিকাংশ সদস্য ঝিমিয়ে পড়লো। একজন অবস্থা বুঝে বার খাওয়ালো- ‘তোরাই লেখ- আমরা ভাল-মন্দ বিচার করি...’ অবশেষে মুরগি পড়ে থাকলাম দু’জন- নিমু আর আমি। নিমু বলল, আমার বিষয় হবে ‘হতাশা’; আমি ওকে বিষয় দিলাম- ‘খিস্তি’। পরের দিন জানতে পারি- স্টার্ট বলার সঙ্গে সঙ্গে আমরা নাকি ঝড়ের গতিতে লেখা শুরু করি। লেখা শেষ মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই। প্রথমে নির্মাল্য পড়ে শোনায়, তারপর আমি। এখন স্বীকার করতে লজ্জা নেই- নিজেরটাই ভালো করে বুঝতে পারিনি- নিমুরটা কি বুঝবো!
সব হয়ে যাওয়ার পর অরুণাভ (যে কিনা তার আগে অবধি মাটিতে ভোঁস ভোঁস করে ঘুমোচ্ছিল) জড়ানো গলায় গম্ভীরভাবে বলল- ‘কেউ জেতেনি, কেউ হারেনি, জিতেছে কবিতা’। আমার ধারণা, আমরা যতক্ষণ লিখছিলাম, তখন, ও কি বলবে তার মকশো করছিলো। সে যাক গে, কি ছাইপাঁশ লিখলাম আমরা? এই যে-





খিস্তি - নির্মাল্য
যদি কান্না চাপা রাগ
একবুক ভাঙা অভিমান
বসে থাকে পাথর হয়ে অহল্যার মত
রামের পায়ের ছোঁয়া- বৃথা অপেক্ষা
কখন ওপর থেকে নেমে আসবে
বিচারের বাণী-অমোঘ বিধান যত
তার চেয়ে তোমার বুকের ভাষা
ভাঙা ইচ্ছে ছেঁড়া মনের আশা
সবটুকু এক করে, অনেক ভেতর থেকে
রাগ-দগ্ধ ভালোবাসা কালো ছবিতে এঁকে
একসাথে দু’তিনটি শব্দে
গর্জে উঠুক প্রাচীন শত অব্দে
অর্থহীন, অশ্লীল বটে-
জীবনের যতটুকু ঘটে-
যতটুকু না ঘটা, সবটুকু এক করে নিয়ে,
অনেক ‘কেন’র যোগ-মিলে মিশে গিয়ে
একদম শেষ হোক জ্বালা
দুটি শব্দে শেষটুকু বলা-

হতাশা

সারারাত ধরে গললো কাজল
বাজলো কেবল একলা মাদল
বাঁকা চাঁদ দেখে মহুয়া খেয়েও
কেউ বেছে নেয় শবরী- শরীর
প্রকৃতি তার – প্রবৃত্তি কার-
কার আনন্দে বনান্ধকার
উইপোকা তোর বাপেরও নয়
অশান্ত মনে বসতি বানায়
সুস্থ জীবন ব্যস্ত করেই
মিটবে খানিক তার খোরাকি
পায়ের তলায় সরলে বালি-
জীবন আমার, তোর তাতে কি?

1 comment:

Give me your thoughts, I will give you replies. :P