১
এ মহাজীবন, এ মরা দিনেও
শুদ্ধ করলো কিছু কালিমা।
পাঁচেক বাঁদর, সাগরকিশোর,
সঙ্গী নোনতা তিন পরমা।
ক্ষণজন্মের অভিশাপ নিয়ে
এই গোটা দিন শেষ তো হবেই।
একে অন্যকে বুকে মেখে নিয়ে
ঢেউ-মানুষের সিক্ত লড়াই।
২
অনাদি
তো নয়, অনন্ত ধারা
স্ট্রোবোস্কোপিক
সিমেট্রি পারা;
ঘোলা
ঢেউ, তুই ধুয়ে দিয়ে যা,
যত
সঙ্কোচ, যত ঝঞ্ঝা
তোর
বুকে আজ দিয়ে যাবো ঠিক
ভেজা
স্যান্ডেল, হারানো পিনিক
আজন্ম
তোকে দেখবো বলেই
ভেড়িমুখ
সব রাস্তা খুলে-
শোয়ানো
বিলাস, বালি কিচকিচ
বিয়ারে
ভেজানো তাজপুর বিচ।
৩
কোন
কুক্ষণে জন্মেছিলাম
কার
অভিশাপ, কোন অপমান-
কোন
যুদ্ধের পরিতাপ মেখে
ভ্রূণমুখে
তোর দুগ্ধ নিলাম।
অনন্ত
আজ ছিঁড়লো আমায়
শঙ্কিত
এক ফার্ণ-কণা
সামনে
সাগর, নোনতা ফেনা
অকিঞ্চিতের
কি যন্ত্রণা!
৪
অসম্ভবের
ঘোলাটে জল
অযাচিতের
অনন্ত ঢেউ
এর
ভাগে চার, ওর ভাগে পাঁচ
ভুগলো
সবাই, গুণলো না কেউ
নীলচে
সাদা স্বপ্ন বুনে
দিগন্ত-ঘের
সে কল্পনায়
সমুদ্র
তার মূল্য ধরে-