Friday, December 16, 2011

মরণের পারে

কালিদাস কি বলে জানো?
“মেঘ-পিওনের ব্যাগের ভেতর মনখারাপের দিস্তা”।

হাওয়ার দেশের রেলগাড়িটা

ফুয়েল আমার পাগলামিটা
এক নিমেষেই লাফিয়ে পেরোয় এভারেস্ট আর তিস্তা।

রেলগাড়িটা আমার মিতে,

দিনরাত্তির গ্রীষ্ম- শীতে
তোমারই জন্য বেগার খাটছি আমরা দু’জন।

অথচ যখন অনেক পরে

চিঠি পৌঁছয় তোমার ঘরে,
চিঠি ছুঁড়ে দিয়ে, শোনো মন দিয়ে পাখির কূজন।

কি এক অন্ধ আবেগের টানে

পেটের জন্য খেটে প্রাণপণে,
মাঝরাত্তিরে তোমাকেই চিঠি লিখতে বসি।

তবুও হায়রে দিন অবসানে

মেঘদূত বলে বিরস বদনে,
“চিঠিখানা পেয়ে নিভল তোমার প্রিয়ার হাসি”।

*****************************************

চিঠি লেখা আজ বহুদিন বাকি

রাত্তির হলে একা বসে থাকি,
মোমের আলোয় খাতার পাতায় কলম চলেনা।

তুমি থাকো সুখে রোমিওর বুকে

ওষ্ঠ লাগুক নরম চিবুকে-
তোমার খেয়ালী মনটার সাথে আমার বনেনা।

*****************************************

আজ কতদিন পাহাড়ের কোলে

ধরে বেঁধে ভাঙা দেহটাকে তুলে
রামধনু রঙা টাইগার হিলে সুজ্‌জি দেখিনি;

ঘুরে চলে ধীরে ঘন্টার কাঁটা

শেষ হয়ে এলো জীবনের হাঁটা
এতদিন ধরে তোমায় কখনো মনেই পড়েনি।

বিছানার ধারে কারা ভিড় করে

ওরা ভাবে বুড়ো মরবে এবারে,
অনুরোধে পড়ে দিল ওরা এনে বাইরে বসিয়ে।

দেখি শুয়ে শুয়ে ভাঙা বিছানায়

মেঘদূত হাসে আকাশের গায়
পাহাড়, পাইন, মিঠে রোদ দিল হৃদয় ভরিয়ে।

কি জানি কি হলো আকাশের কাঁচে

মেঘদূত গেল নিলীমায় মুছে,

তার স্থান নিল তোমার মিষ্টি মুখের আদল।

এক লহমায় শরীরটা ঝেড়ে

পাইনের মাথা, এভারেস্ট ছেড়ে

পৌঁছে ত্বরিতে মেঘেদের ঘরে

তোমায় জড়িয়ে বুঝলাম,

আমি এখনো পাগল।।

*********************************************************
৬ মাত্রা। মাত্রাবৃত্ত
(অতি বাচ্চা বয়সে লেখা কবিতা, কাঁচা লেখা - আমি আর ঠিক করিনি, তাই সেভাবে পড়বেন)

No comments:

Post a Comment

Give me your thoughts, I will give you replies. :P